
১৩ ঘন্টা পানিতে ডুবে থেকেও যেভাবে বেঁচে গেলেন ‘সুমন বেপারী’
সোমবার (২৯ জুন) সকাল ৯ টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘মর্নিং বার্ড’ নামের একটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় ডুবে গিয়েছিল।




ওই লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩২ জন যাত্রী নিহত হয়েছে।
এবং আরো অনেক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
ওই ডুবন্ত লঞ্চ থেকে একজন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন।




লঞ্চটি ডুবার দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা পর ওই ডুবন্ত লঞ্চ থেকে একজন যাত্রী কে জীবিত উদ্ধার করলেন উদ্ধার কর্মীরা।




পানির নিচে ডুবে একজন মানুষ কত সময় থাকতে পারবে??
এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাধারণত একটি মানুষ পানির নিচে ডুবে গেলে ১ মিনিট বা দেড় মিনিট বেঁচে থাকতে পারে।
এর বেশি হলে সে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরবে।




সবার মনেই প্রশ্ন জাগতেই পারে, যে ২৯ জুন সকালের দিকে একটি লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর ওই লঞ্চে এক ব্যক্তি দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা জীবিত ছিলেন।
তবে লোকটি পানির নিচে কিভাবে ১৩ ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন!




লঞ্চটি ডুবে যায় সকাল নয়টার দিকে, এবং ওই লঞ্চটি কে উদ্ধার করা হয় রাত সাড়ে নয়টার দিকে।
লঞ্চটি উদ্ধার করার সময় ওই লোক থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।




তার বেঁচে যাওয়ার পেছনে অনেকেই বলেছে, রাখে আল্লাহ মারে কে?
আবার কেউ কেউ ধারণা করেছেন এর পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে..




কেন বা কীভাবে বেঁচে থাকলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন,




ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামক ছোট্ট লঞ্চটি কয়েক সেকেন্ড সময়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়।
লঞ্চটি পানির নিচে উল্টে যাওয়ায় বাতাস আটকে থাকে অর্থাৎ এয়ার পকেট তৈরি হয়।




সম্ভবত সুমন বেপারি যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে পানি প্রবেশ করেনি এবং সুমণ বেপারি এয়ার পকেট থেকে অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে ছিলেন।
এটাই একমাত্র কারণ, এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কারণ নেই।




Leave a Reply