সুখবর! মাত্র ২ মাস পর আসছে ‘করোনা ভাইরাসের’ ভ্যাকসিন; ফাইজার সিইও

আগামী দুই মাস পরে করো’না ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ফার্মাসিউ’টিক্যাল কোম্পানি ফাইজার’র প্রধান প্রর্বাহী (সিইও) অ্যাল’বার্ট বোরাল।

গত মঙ্গলবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন’কে দেওয়া এক সাক্ষা’ৎকারে তিনি এ সম্ভাব’নার জানান।

তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, অক্টোব’র নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ তাদের ভ্যাকসি’ন অনুমোদন দিয়ে দেবে।

এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকা’রের সঙ্গে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক আলাপ হয়েছে। বোরাল নিজে’দের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসি’নের সফলতার বিষয়ে ক্রমেই আত্ম’বিশ্বাস বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

করোনা ভাইরাসের মহামা’রিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই এগিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও গবেষ’ণার কাজ চললেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে, ভ্যাকসিন আবি’ষ্কারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যাল’য়ের গবেষকেরা।

তবে এবারে জার্মান কোম্পানি বায়ো এন টেক’র সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবন পর্যায়ে থাকা ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার সুনির্দিষ্ট সময়’সীমা ঘোষণা করলো ফাইজার।

অ্যালবার্ট বোরলা জানান, গত ১ জুলাই প্রকাশ হওয়া প্রাথমিক পর্যা’য়ের পরীক্ষার ফলাফল তাদের আরও আশাবাদী করে তুলেছে। ভ্যাকসিন উদ্ভাব’নের সঠিক পথে থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বোরলা জানান, এফডিএ’র অনুমো’দন পাওয়ার আগেই তারা এর উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) নামে একটি জিন’ভিত্তিক পদ্ধতিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তবে প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্বীকার করেছেন, এখন পর্যন্ত সংক্রাম’ক রোগ ঠেকাতে এমআরএনএ-ভিত্তিক ভ্যাকসিন কোথাও অনুমোদ’ন পায়নি।

এই মাসের শেষদিকে বড় আকারে ভ্যাকসিন’টির ক্লিনি’ক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে ফাইজার। এতে বিশ্বের ১৫০টি স্থানে ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসি’নটি দেওয়া হবে।

Articles You May Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *