সিরিজ হারাটা অবশ্যই দরকার ছিলো।

২০১৫ সাল থেকে এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দেখে চলেছে বিশ্ব। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায়, অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেবার বিশ্ব দেখেছিলো টাইগারদের গর্জন! প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা….। এরপর পাকিস্তান, ভারত, সাউথ আফ্রিকার, মতো দলের সাথে সিরিজ জিতে মাশরাফির দল। চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সেমিফাইনালও খেলে টাইগাররা, এছাড়াও অনেক নানান অর্জন রয়েছে সাকিবদের।

টাইগার সমর্থকদের চাওয়া ছিলো এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল অন্তত সেমিফাইনালে খেলবে! কিন্তু সেই আশায় পানি ঢেলে দিলো খেলোয়াড়েরা…. ওয়ার্ল্ডকাপে সাকিব, মুশফিক, ছাড়া প্রত্যেক প্লেয়ারের পারফর্মেন্স ছিলো যাচ্ছেতাই। করুন অবস্থা ছিলো বোলিং ফিল্ডিং সব ডিপার্টমেন্টে।

বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার জন্য চাকরি হারান। হেডকোচ স্টিভ রোডস, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি, ফাকা হয়ে পড়ে টাইগারদের কোচিং প্যানেল। কথা ছিলো শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সব কোচ নিয়োগ দিবে বিসিবি!! কিন্তু না বিসিবির চোখে সেই টাইগারদের আপদ কালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন তাকেই দিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কা সফরে দলের হেড কোচের দায়িত্ব।

একটা দল নিয়মিত কিভাবে ভালো খেলবে বলুন যেখানে দীর্ঘ মেয়াদী কোনো কোচ রাখে না বোর্ড। সেই দলের কাছে ভালো পারফর্মেন্স কিভাবে আশা করেন।

শ্রীলঙ্কা সফরে যাইনি সাকিব, মাশরাফি, লিটন, সাইফুদ্দিন, দলের পঞ্চাশ ভাগ শক্তি এমনিতেই নেই। সুযোগ ছিলো নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখার, কিন্তু নির্বাচকরা তা না করে সেই পুরানা মাল গুলা দিয়েই কাজ সারতে চাইলেন! শফিউল, বিজয়, তাইজুলকে, না নিয়ে নতুন কাউকে নেয়া যেতে পারতো না। এরই মধ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ… শংকা আছে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ারও তাও হলে আরো ভালো কিন্তু চাই না আর হারুক। এই সফর থেকেই বিসিবির শিক্ষা নেওয়া উচিত, এখনই সময় নতুন কাউকে সুযোগ দেবার পুরানো কাউকে আর চাই না।

Articles You May Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *