
মাশরাফি একজনই!
আট বছর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৫৮,৭৮ রানে অল আউট হয়েছিল। এর তিন বছর পর ২০১৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকং এর সাথে হারতে হয়েছিলো আমাদের। পুচকে আফগানিস্তান এশিয়া কাপে বলে কয়ে হারিয়েছিলো আমাদের।
২০১১ তে সাকিব ২২-২৩ বছর বয়সে ক্যাপ্টেন্সি করেছিলো।অপরিণত বয়সের সাকিব নিয়ে সে সময়ে মিডিয়াতে কম জল ঘোলা হয় নিএকটা অনার্স ফোর্থ ইয়ারে পড়া ছেলের বয়সী ছেলে জাতীয় দলের নেতৃত্বের চাপ সামলানো যা তা কথা ছিলো না।
এরপর,মুশফিক এসে ২০১২ এশিয়া কাপে ভালো করলেও এরপর মুখস্ত ক্যাপ্টেন্সির জন্য হয়েছিল বেশ বিতর্কিত।মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি নিয়েও অতিস্ট বোর্ড,সমর্থক রা।এক ম্যাচে পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানকে বল দেন নি।মিডিয়াতে কথা উঠার পর জিদ করে পরের ম্যাচে টানা ১০ ওভার করান তাকে দিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের কালো সময় ২০১৪ তে বি টিম পাঠালো ভারত।সেই বি টিমের সাথে ৫৮ রানে অল আউট।হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
এরপর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো এক রাজপুত্রের হাতে।যার ভিতরে অলৌকিক এক নেতৃত্বগুণ আছে।সে জানে কিভাবে একটা দল হিসেবে খেলতে হয়,সবার ভিতর থেকে সেরা টা বের করে আনতে হয়।
দেশের মাটিতে ৪ পেসার খেলানোর সাহস প্রথম তিনিই করেছিলেন।তাসকিন,রুবেল,ফিজ,আল আমিন,তিনি নিজে সবাই উইকেট পাচ্ছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই আমাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পাই।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ, হাতুড়াসিংহের সাথে তর্ক করে নিজের রিস্কে ফিজকে দলে নিয়ে ভারতকে দেশে নাকানি চুবানি খাওয়ানো,সাউথ আফ্রিকাকে ২-১ এ হারানো বা ইংল্যান্ডের সাথে ২-১ এ লড়াই করে সিরিজ হার সবই হয়েছিলো তার আন্ডারেই।বল হাতেও ২য় সর্বোচ্চ উইকেট এই ৪ বছরে তার।
২০১৮ এশিয়া কাপের সময় সাকিব,তামিম দুইজনই ইঞ্জুর্ড। তারপরেও ওই অর্ধেক শক্তির বাংলাদেশকে টেনে ফাইনালে নিয়েছিলেন তিনি।
মাঝে বিপিএলে ভগ্ন শক্তির কুমিল্লার অর্ডিনারি দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগেও ট্রাই নেশন সিরিজ এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে খেলা বের করেছেন তিনি।
তার দুটো দোষ।এক – আওয়ামী লীগের এমপি হওয়া,ডাক্তারের কাছ থেকে জবাব দিহি চাওয়া,দুই – বিশ্বকাপে ফর্ম হারানো।
তো,হ্যাঁ খুব ভালো লাগতো যদি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার খেলা লাগতো?
বিশ্বকাপের আগে তিনি সেরা পারফর্মারই ছিলেন।
একদল ভেড়াও বাঘের নেতৃত্বে বাঘের মত আচরণ করে আর একদল বাঘও ভেড়ার নেতৃত্বে থাকলে ভেড়া হয়ে যায়।
তার কপাল খারাপ – বিশ্বকাপে এসেই ফর্ম হারিয়েছেন।
পারফর্ম করতে না পারার কারনে আপনার চেয়ে কষ্টে আর কেউ নেই।
কাল শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে আরেকটা ছক্কা চাই,শেওয়াগকে বোল্ড করা,গিলক্রিস্টকে আউট করা ডেলিভারির একটা দেখতে চাই।
জানি বয়স আর শরীর হয়ত আপনাকে পার্মিট করবে না৷তাও,শেষটায় এসে ইশ্বর আমার চেনা মাশরাফিকে আমার সামনে উপস্থাপন করুক।
© ক্রিকপ্লাটুন
Leave a Reply