
ভারতের লোকেরা কেন টয়লেটে যায় না? বিস্তারিত জানুন..
ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজ্য মহারাষ্ট্র সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ওই রাজ্যের কাউকে খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না।




কারণ সবার হাতের নাগালে আছে শৌচ কার্যের স্থান।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতের রাজ্যগুলোতে শৌচাগার তৈরি করার ঘোষণা হয়েছে,
দেখা গেছে অনেক জায়গায় শৌচ কার্য থাকা সত্বেও মানুষ খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করছে ।




শৌচ কার্য থাকা সত্ত্বেও কেন মানুষের শৌচ কার্য ব্যবহার করছে না?
ভারতে মোদি সরকার আসার পর তিনি ভারতে একটা অভিযান চালিয়েছিলেন ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’
অনেক জায়গায় অনেক পরিষ্কার এবং অনেক শৌচ কার্য দেওয়া হয়েছে।




এরপরেও ভারতের লোকেরা তাদের পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারছে না, শৌচ কার্য থাকা সত্ত্বেও তারা খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করতেছে।




ভারতের লোকেরা সুযোগ আছে কেন যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিবিসি বলেন..
ভারতের লোকদের চার দেয়াল ঘেরা শৌচ কার্যে মলত্যাগ করতে তাদের অভ্যাস নেই, গরম লাগে এবং দুর্গন্ধ লাগে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের লোকেরা,




আবার কিছু গ্রামীণ এলাকায় পানির অভাবে তারা শৌচ কার্যে মলত্যাগ করতে পারেনা।




গ্রামীণ স্যানিটেশন কাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেছেন, টয়লেট বানানোর পর পরবর্তীতে তার রক্ষণা বেক্ষণের জন্য মানুষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে,




কি হয়তো পায়খানা বানানোর পর ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে না,
পরবর্তীতে তারা ওই পায়খানা তেও যেতে চায়না।




বিহারের এক স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, তিনি দেখেন কিছু মানুষ মলত্যাগ করার জন্য খেতে যাচ্ছি,
তিনি তাদেরকে বলেন আপনারা যে খেতে মলত্যাগ করার জন্য যাচ্ছেন,




আপনাদের দেহের কিছু অংশ গ্রামের লোকজন দেখতে পায়,
যা দেখার অনুমতি শুধু আপনার স্বামীর আছে,
তখন আপনাদের লজ্জা শরম কোথায় যায়?




শৌচাগার আন্দোলনে সঙ্গে যুক্ত ভারতের বৃহত্তম এনজিও সুলভ ইন্টারন্যাশনাল অবশ্য মনে করে, ভারতের আবহমান সংস্কৃতি যেহেতু বলে শৌচের কাজ বসতবাড়ি থেকে দূরে হওয়া উচিত – তাই বাড়ির ভেতরে বা লাগোয়া শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি হতে আরও সময় লাগবে।




Leave a Reply