
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যা বললেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী
করো’না নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ার’ম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ’কে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




রোববার (১৩ জুলাই) ঢাকা মহানগ’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার কার্যা’লয়ে সাংবাদিক’দের এসব কথা জানিয়েছেন।




তিনি বলেন, ‘জেকেজির এমডি আরিফুল হক চৌধুরীকে যখন আমরা গ্রেপ্তা’রের পর জিজ্ঞাসা করলাম জেকে’জির এমডি, সিও আপনি তাহলে আপনার চেয়ারম্যান কে? তখন তিনিসহ গ্রেপ্তার সকলেই বলে’ছেন চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা।’




‘তাদের এমন বক্তব্যের পর আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছিলাম। সাবরিনাকে আজ জিজ্ঞাসাবা’দের জন্য ডেকেছিলাম।
তাকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম আপনি চেয়ারম্যান কিনা, তিনি তখন বললেন না- আমি চেয়ারম্যান না।’




পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সাবরিনাকে যখন জিজ্ঞা’সা করলাম, আপনি তিতুমীর কলে’জের ঘটনায় জেকেজির পক্ষে চেয়ার’ম্যান হিসেবে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।




তিনি বললেন- তার স্বামী তাকে এসব বলতে বলেছিল। এছাড়াও অনেক প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দিতে পারেন’নি। ফলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’




তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামীকাল সাবরিনাকে আদালতে রিমান্ডে চাইব। রিমান্ডে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যদি আ’রও কারও সম্পৃক্ততা পাই তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’




এর আগে তেজগাঁও বিভাগের উপকমি’শনার মোহাম্মদ হারুন অর রশি’দ গ্রেপ্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তদন্তে জেকেজির প্রতারণার সঙ্গে ডা. সাবরিনা আরিফের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।




তাই তাকে গ্রেপ্তার দেখা’নো হয়েছে। একই মামলায় সাবরি’নার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।




জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারে’র কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথ’কেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিতো।




Leave a Reply