
করোনা আতঙ্কে কেউ আসেনি, চার মেয়ের কাঁধে বাবার লাশ
মারা যাওয়া এক ব্যক্তির করোনা আতঙ্কে,
তার মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে কেউ এগিয়ে এলো না ।
অবশেষে শোকাহত তার চার মেয়ে তার বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে শ্মশানে গেলেন।
এই খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসন দেরকে নিয়ে সমালোচনা চলছে।
করোনা আতঙ্কে সাধারণ লোক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও এই সময় প্রশাসন কি করছে???
এমন প্রশ্ন অনেকেই করছে ।
ওই মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার (৪৫),
ভারতের আলীগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন সঞ্জয় কুমার,
সঞ্জয় কুমার একজন চা বিক্রেতার ছিলেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা যায়, সঞ্জয় কুমার বেশ কিছুদিন যাবৎ যক্ষা রোগে ভুগছিলেন, কোনরকমে সরকারি হাসপাতাল থেকে ঔষধ সেবন করে বেঁচে ছিলেন।
এক মেয়ের বিয়ে দেওয়াতে তার সংসারের অভাব নিয়ে আসে।
অন্য মেয়েগুলো টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি।
সঞ্জয় কুমার এর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে আছে।
এর মাঝেই করোনা আতঙ্কের লকডাউন হয়ে যায়।
লকডাউন কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঔষধ ছিলনা।
বাহির থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার মত সামর্থ্য ছিল না তার, শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পথযাত্রী হলেন সঞ্জয় কুমার।
সঞ্জয় কুমার যক্ষা রোগে মারা গেলেও তার পরিবারের পাশে আত্মীয়-স্বজনরা করোনা আতঙ্কে তাদের পাশে কেউ আসেনি।
তাই তার চার মেয়ে শোকাহত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার বাবার লাশ শ্মশানে নিয়ে যায় ।
Leave a Reply