
করোনাভাইরাস; খাবারের অভাবে কিশোরীর আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি পৌরসভা এলাকায় আফরোজা খাতুন (১০) নামক এক মেয়ে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শুক্রবার (১০ই এপ্রিল) মেয়েটি তার নিজ বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্বজনরা দাবি করে, কয়েকদিন যাবত মেয়েটির পরিবার অনাহারে আছে ।
খাবারের জন্য মেয়েটি কান্নাকাটি করলে মেয়েটির বাবা তাকে ধমক দেয়। তারপর মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় গলায় দড়ি দেয়ে আত্মহত্যা ঘটায়।
খাবারের অভাবে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় জনগণের মাঝে প্রতিক্রিয়া করে তোলে।
সূত্রে জানা যায়, আফরোজার বাবা আলম শেখ, আলম শেখ পেশায় তাঁত শিল্প।
আলম সাহেবের পরিবার থাকেন কামারপাড়া ওয়াপদা বাঁধে ।
পরিবার জানায়, মেয়েটি ক্ষুধার জ্বালা না মেটাতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
শুক্রবার বাবার কাছে মেয়ে টি খাবার চাইলে বাবা ধমক দেয়,
বারবার ধমক খেয়ে আফরোজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্বজনরা দাবি করেন,
আলম শেখ এর তাঁত শিল্প কারখানা প্রায় ১০-১২ দিন থেকে বন্ধ।
জমানো যে টাকা ছিল এই টাকা দিয়ে ৪-৫ দিন চলে।
করোনার কারণে আলম শেখ সরকারি বা বেসরকারি কোন ত্রাণ পাইনি।
এবং তার পরিবারের কেউ খোঁজ খবরও নেইনি।
গত কয়েকদিন ধরে অনাহারে আছে তার পরিবার।
তার মেয়ে মৃত্যুর পর অনেকেই এসেছে তার বাড়িতে।
পৌর মেয়র গত শনিবার তার পরিবারকে কিছু ত্রাণ সহায়তা করে।
মেয়েটির বাবা আলম শেখ বলে,
করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসন খুব কড়াকড়ি করছে।
কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন শুয়ে বসে আছি।
ঘরের চাল ডাল কিছুই নেই, আমরা সবাই অনাহারে আছি,
মেয়েটি ক্ষুধার জ্বালায় আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করছে,
আমি তাকে ধমক দিলে সে এই ঘটনা ঘটায়।
বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম বলেন, মেয়েটির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,
ওই পরিবারকে প্রথম দফায় কিছু সহায়তা করা হয়,
তার পরেও কেন এই ঘটনা ঘটলো এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply