আইসিসির নিজেদের শত্রু নিজেরাই!

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের হতাশার শেষ নেই।ক্রিকেট খেলাটা যেন তারা শুধু আয়োজন করছে তিন মোড়ল এর জন্য।অন্তত তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সেটাই বলে।এত এত জনপ্রিয়তার পরেও ফিফা যেখানে সারা বছর কাজ করে যাচ্ছে ফুটবল কে আরোও গ্লোবালাইজেশন করার জন্য,আইসিসি তখনই ঠিক উলটা পথে হাটছে।তারা গ্লোবালাইজেশন এর বদলে ব্যবসার দিকেই বেশি নজর দিয়েছে।ফিফার শেষ তিন বিশ্বকাপ এর ভিতরে দুইটাই হয়েছে আফ্রিকা,রাশিয়া তে।সামনের বিশ্বকাপ হবে কাতারে।অপরদিকে আইসিসির শেষ তিন বিশ্বকাপ হয়েছে ভারত,অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ডে এমন কি পরের বিশ্বকাপও আবার হবে ভারতে।এছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৭ এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছে ইংল্যান্ড।২০১৬ এর টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ভারত আবার ২০২০ এর টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া।এরপর আইসিসির নতুন পরিকল্পিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বদলে হওয়া ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপও হবে ভারতে।বিষয় টা স্পষ্ট যে ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ব্যতিত আইসিসির মূল ইভেন্ট গুলো ঘুরে ফিরে ভারত,ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে!তাই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় আইসিসি বানিজ্যিক দিক চিন্তা করেই চক্রাকারে তিন মোড়লের মধ্যে তাদের সব মেজর ইভেন্ট ভাগ করে দিয়েছে।যার ফলে আইসিসির অন্যান্য সদস্যভূক্ত দেশ গুলো আয়োজক হিসেবে বঞ্চিত হচ্ছে।অথচ ২০১৪ সাল এর টি-২০ বিশ্বকাপ,২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে এক প্রকার তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বকে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আবার কবে আইসিসির মেজর টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে বাংলাদেশ সেটা সম্ভবত আইসিসি নিজেরাও জানে না।
এভাবে চলতি থাকলে ক্রিকেট কে দশ দেশের ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে সারাজীবন।ক্রিকেট গ্লোবালাইজেশন এর জন্য আইসিসি কে সর্বপ্রথম তিন মোড়ল এর আচল থেকে বের হতে হবে।তারকা প্লেয়ারদের নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্যাম্পেইন করতে হবে।টি-২০ ক্রিকেট কে আরোও বেশি সুযোগ দিতে হবে,কারণ এটাই ক্রিকেট কে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারবে।সহযোগী দেশ গুলো কে আরোও বেশি বেশি খেলার সুযোগ দিতে হবে,ছোট দেশ গুলো কে সর্বাত্মক সমর্থন দিতে হবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন মোড়ল এর বাহিরে মেজর টুর্নামেন্ট দিতে হবে,বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপ।

Articles You May Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *